
পলাশ বড়ুয়া:
কক্সবাজারের উখিয়ায় সরকারি অর্থে নির্মিত রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে বসানো সিসি ব্লক রাতের আধাঁরে সরিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বর্ষা মৌসুমে উচ্চমাত্রার ঝুঁকির কবল থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন, হলদিয়াপালং ৯নং ওয়ার্ডের রেজুখাল পাড়ের ভাঙ্গন রোধে সরকারি উদ্যোগে গাইডওয়াল ও সিসি ব্লক বসানো হয়। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে রেজুর তীব্র ভাঙ্গন ও প্লাবন থেকে রক্ষা পাচ্ছে এলাকাবাসী।
সূত্রে আরো জানা গেছে, সম্প্রতি শুস্ক মৌসুমে খালে পানি না থাকার সুবাধে ব্লকের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত শামশুল আলমের ছেলে মো: মামুন অন্যায় ভাবে রাতের আধাঁরে আনুমানিক ৩৫০টি ব্লক সরিয়ে খালের পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
এতে কেউ প্রতিবাদ করলে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারতে তেড়ে যায়। এছাড়াও অভিযুক্ত মামুনকে কয়েকবার পুলিশ ইয়াবাসহ আটক করেছে। পরে জামিনে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। যার ফলে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মামুনের ব্যবহৃত 01850647549 নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তাছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেন।
কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ২০১০-২০১২ সালের দিকে রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে একটি মাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কেউ যদি ব্লক বা গাইডওয়ালের ক্ষতি করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত